তোমার-আমার সালতামামি

তোমার-আমার সালতামামি
রকিবুল ইসলাম
বাতাসে ভাসিয়া আসিল একটা খবর,
গুণগুণ করিয়া কে যেন কহিতেছে,নতুন সাথী খুঁজিতেছ তুমি।
অদম্য মনোবলে তব বোধকরি চিড় ধরিয়াছে!
তোমার জন্য অপেক্ষমান শেষ ট্রেনটিও কি তোমারে ছাড়িয়া গিয়াছে?
তবে তো,তোমার ভেলায় চড়িতে চাওয়া শত শত যাত্রী ও আজ আর নাহি সেথা নিবাস তোমার যেথা।
তোমার চারিধারে জনকীর্ণ শোরগোল,শত-সহস্র কলরবের আওয়াজও বোধকরি এখন আর নাহি।
মনে হইতেছে, আজ তুমি একা,বড় একা!
ক্লান্ত-শ্রান্ত,অসহায়,জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক,ঠিক আমার মত।
তোমার পরাজয়ে আজ আমার খুশি হইবার কথা ঢের।
কারণটা তোমারই সবচাইতে বেশি ভাল জানা।
কিন্তু, তুমি যে আমার,একান্তই আমার!
জন্ম জন্মান্তরের স্বপ্ন-সারথী যে তোমারে ভাবিয়া কাঁটিয়া যায় আমার নিশিদিন,সেই তোমারে পরাজিত হইতে দেখিয়া কিভাবে সুখী হই বলতো?
যে তুমি মজা পাইতে পুড়াইয়া আমায়,আমিও মজা পাইতাম পুড়িয়া তোমার অনলে।
চুলে কি পাক ধরিয়াছে তোমার? ক্ষতি কি তবে? আমিত তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্য্য বা বয়স দেখিয়া ভালোবাসি নাই কভু,বাসিয়াছি তব অন্তরকে।
যদি কভু তোমার ইচ্ছার পাখিরা ডানা মেলিয়া উড়িতে চাহে ওই নীল গগণ পানে,তবে, কহি তোমারে সখি। আসিও তুমি,আমি আগের ঠিকানায়ই আছি।
পড়িয়াছি তোমার প্রেমের অনন্ত মায়ায়,
যে মায়ায় জড়াইয়া সকল কিছু হারাইয়া নিঃস্ব-রিক্ত অসহায় আজ আমি।
তাই তো আজ উদাত্ত আহ্বান জানাই আমার মহারাণীকে-
সময় পাইলে সকল অহং,সকল ভেদাভেদ ভুলিয়া
একবার আসিও,আসিও আমার হৃদপল্লীর হৃদঙ্গণে।
সাজাইয়া রাখিয়াছি সকল কিছু ঠিক তোমার মত করিয়া অতীব যতনে সুনিপুণ দক্ষতায়।
যদিও কিছু অপূর্ণতা থাকিয়া যায়,পরিপূর্ণ হইবে তোমার পরশে তাহা কানায় কানায়।