পোষা বিড়াল
পোষা বিড়াল
নুর হোসেন ভূঁইয়া
ছোট্ট সে ছিলো আমার ঘরের প্রহরী,
দিনে দিনে বড় হলো আমারই পোষা প্রাণি।
খেলার সঙ্গী, ঘুমের পাহারা,
ছোটখাটো কাজ সব করতো সারা।
গাছে জল দিতে ভুলে যেতাম—সে মনে করাতো,
সকাল-বিকেল আমার ছায়া হয়ে থাকতো।
তার চঞ্চলতায় ভরে যেত ঘর,
আমার একাকীত্ব কেটে দিতো!
হঠাৎ একদিন ফেরেনি আর!
অশ্রু ঝরে বুকে রেখে ভার।
প্রকৌশলী আমি, পোষা প্রেমে মগ্ন,
তাকে ভুলতে বানালাম “রোবো-কেট” অচঞ্চল।
রোবটও হাঁটে, কাজ করে তার মতো,
তবু যেন কোথাও ফাঁকা ফাঁকা, মনটা খালি তো।
সেই পোষার মতো কি আর হয়,
রোবট দিয়ে কি তার শূন্যতা মেটায়?
এভাবেই চলছিলো দিন, রাত একাকার,
হঠাৎ সন্ধ্যায় শুনি দরজায় মিউ-মিউ ডাক।
এ বুঝি আসলো সে!
দৌড়ে যাই, দেখি ঠিক তারই মতো এক ছায়া,
দাঁড়িয়ে আছে নীরব, কোনো কথা না কয়।
ডাকি তাকে কাছে, সে আসে না তো,
অচেনা মুখে ফিরে দাঁড়ায়, কী অদ্ভুত রূপ সে।
প্রতিদিন আসে, থেমে থাকে দরজায়,
সে কি আমার পোষা? নাকি দূরের ছলনাময়ী?
একদিন তাকে গ্রহণ করলাম আপন করে,
“রোবো-কেট” আর সে দুজনেই আমার ঘরে।
তবু যেন কোথাও শুন্যতা রয়,
হারানো পোষার জায়গা কি আর রোবটে পূরণ হয়?