বাবা
বাবা
স্বপ্না রহমান
আমার বাবা ছিলেন বেঁচে– যখন এই ধরায়
অনেক চিহ্ন এঁটে গেছেন নিজের বিলীনতায়।
বাবা আমার ছিলেন বটে,সবার মাথার ছাতা
সেই সাথে পুরণ করেন,সকল চাওয়ার ব্যথা।
বাবা আমার প্রভুর ডাকে সাড়া দেন যখন
আমি তখন ছিলাম বুঝি,অবুঝ শিশুর মতন।
সময়টা ছিল আশির দশক কিংবা মাঝামাঝি
আমার বাবা চলে গেলেন, দিয়ে আমায় ফাঁকি।।
আমার বাবার স্মৃতির মাঝে এমন ছিল কেউ
সেই মানুষটি ছিল বাবার,মেজো ভাগনের বউ।
ছিল ভীষণ গুণের মেয়ে, আরো ভালো মন
আমার বাবার স্মৃতির মাঝে,সেরা একজন।
বংশধরের কন্যা বলে, ছিল ভীষণ ভালো
বাবার খুব পছন্দ ছিল,জাতের মেয়ে কালো।
সবে যখন নতুন সংসারে পা দেয় মেয়েটি
অসুস্থ হয়ে বাবা আমার,ছেড়ে যান পৃথিবী।
এক এক করে পাড়ি জমালেন বাবার বোনটি
মেয়েটা তখন সামলে নিলেন পুরো পরিবারট।
মধ্যে খানে অনেক বছর, সংসার জীবন চলে
মাতৃত্বের স্বাধ পাওয়া হয়নি, সন্তান হয়নি বলে।
মা ডাক শোনার জন্য কতো লড়াই চলে
মায়ের তৃষ্ণা মেটেনি তাঁর নিঃসন্তান বলে।
বাবা ডাক পায়নি বলে, স্বামী করল হেলা
জীবন যুদ্ধ চলতে চলতে কেটে গেলো বেলা।
অনাদরে অবহেলায় অনেক বছর ধরে
রোগের সাথে লড়াই করে জীবন তাঁর চলে।
ধীরে ধীরে চুপিচুপি মেয়েটি অভিমান করে
অসুস্থ হয়ে পরে রইলো, নিঃসন্তান স্বামীর ঘরে।
হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম, ভীষণ চাপের অসুখ
চিকিৎসা বিদরা হাল ছেড়ে দেয়,নেই বিমারির ঔষধ।
স্রষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে, গতকাল-ই যায় চলে
কষ্ট হচ্ছে, বাবার চিহ্ন ছেড়ে গেলো বলে।