এপ্রিল ২০, ২০২৫

মোহময়ী ঠিকানা আমার অজাতশ্মশ্রু

0

মোহময়ী ঠিকানা আমার অজাতশ্মশ্রু

শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম

আমি নিস্প্রভ জলাধার।

সুদূর পালকে অশ্রুনামা লিখি।

আটসাঁট স্লিভলেসের সৌন্দর্যের

বিকানো ভালোবাসা————-

বিভাবরী রোদে উড়িয়ে দিয়েছি সাবধানতায়

যেনো কোনো হেমন্তের উজান ডিঙিয়ে

ছাল-বাকল সমেত ফিরে না আসে—–।

কৌশিক রোদ্দুর পালে অগুণন

মেঘলা তিথি মল্লিকা যুঁথির বনে

পাগল করা মিহিচাঁদ————-

হেমন্ত হিমকে ডেকে মটরদানা আনায় ব্যস্ত!

কোনো একদিন মটরদানার বাঁকা আইল ধরে

আমি কৃষ্ণপক্ষের ঘরে সানাইয়ের সুর তুলি।

বড় অদ্ভুত আমি অমাবস্যার নিকানো উঠোনে

বাকা চাঁদের মুখোশে রসিয়ার পালক খুলে

যৈবন্তির গান ধরি—————————!

তবুও বেশ ভালো—

চন্দ্রের ঘরে গ্রহণ হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করিনি।

কোচড় ভর্তি দুঃখগুলোকেও গলুইয়ে

চাপা দিয়ে—-ত্রিবেণী মাস্তুলের

ইশারায়——–হংসমিথুনের

ঘর ভেঙে দেবার স্বপ্ন বুনিনা—!

সস্তার পাড়ভাঙা সহজ——–!

সহজলভ্য অন্ধকারে বিরল ভাবনা

বসতি গড়ে—অর্ধমৃত চাঁদের মতো।

সহজলভ্য যা তা বিরল হবার জো আছে!

গো-হারা আমি অন্তত—

হারতে আর রাজি নই—————-!

ফড়িং ফড়িং দু:খগুলোকে দিয়ে

বাক্সবন্দি করে বাঘবন্দি খেলা খেলি।

ইজারার ঘাটে কুলুপ এঁটে দিই

মনতো আমার আর বিবাগী নয়

সামাল দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করে নিয়েছি

বৈরাগ্যের—————–একাকীত্বে!

ভেবেছি—–পিচঢালা পথে নয়

মাটির টেরাকোটায়—জিন্দেগী বিভাজন নয়।

অনেক শান্তির প্রচ্ছায়া ব্যাকুল করে।

দক্ষিণা কিংবা উত্তরীয় বায়ে

পথ আমায় চিনিয়ে দেবে————–

কোন পথে বইবে আমার শান্তির নিশাণ!

এপ্রিল ২০, ২০২৫

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *