তালুবন্দি ঊমা
তালুবন্দি ঊমা
অরবিন্দ সরকার
কৈলাস পর্বত থেকে শিবের দৃষ্টি ছিলো ঊমার দিকে।
তাঁর ভয় ছিলো একজন কু মানুষকে নিয়ে। বহু অপমান হজম করে সে বঙ্গের মুখপাত্র। অতীত স্মৃতি ভুলে গিয়ে পদলেহনে ব্যস্ত। দু’ কানকাটা একটা কীট্ ! পুলিশের ভ্যান চাপড়ানো ভুলে গেছে? কথা বলার অধিকার আইনে আছে কিন্তু সে অধিকার প্রশাসন কিভাবে কেড়ে নেয় সেটা তার অজানা নয় । বিশ্ববাসী দেখেছেন কু কিভাবে সমস্ত ঘুষ,কাটমানি, নোংরামির জন্য একমাত্র দায়ী করেছে তার মহারানীকে। সারদার চোরকে কিভাবে মা সারদার রূপে পূজা করছে! তিলোত্তমার বিচার চেয়ে তাঁর সমকক্ষ বন্ধু দাদা চিকিৎসকেরা আমরণ অনশনে বসেছেন! কু এর উক্তি চারদিন অনশনে কি অসুস্থ হয় ? এসব নাটকবাজী চলছে। ছাব্বিশ দিনের অনশনের বিশ্বরেকর্ড কেউ ছুঁতে পারবে না? যার নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে লিপিবদ্ধ মাননীয়া ক্ষমতা বাঁধেধান্ধায়! ছাব্বিশ দিনের লুকোচুরি অনশনে দিব্যি ওজন বাড়ে আড়ে বহরে।
মানুষের নজর এবার ডাক্তারদের অনশন মঞ্চের উপরে,দেবী ঊমার আটচালায় ভীড় কম।
মহারানী সব বিষয়ে পারদর্শী ডক্টরেট। পা ভাঙার মিথ্যা অভিনয় করে,ভোট শেষে নিজেই খুলে ফেলেন ব্যাণ্ডেজ। পাক্কা অভিনেত্রী,তাই সব সিনেমার অভিনেত্রী তার কাছে তালিম নিচ্ছে অভিনয় বিদ্যার।
হয়তো আমার ঊমাকেও শরীরে ক্ষত দেখিয়ে ব্যাণ্ডেজ করে ফেলে রাখতো, আমার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাতে। মর্ত্যে বিচ্ছেদ ডিভোর্সের ছড়াছড়ি। কে কাকে ধরছে ও ছাড়ছে তার হিসেব রাখাই মুস্কিল। লক্ষ্মী সরস্বতী ভয়েই মায়ের কাছছাড়া হয়নি এবার। যেভাবে তিলোত্তমাকে লণ্ডভণ্ড করে ধর্ষণ ও বেইজ্জত করেছে শুনেই ওদের ধিক্কার ও থুঃ থুঃ ছেটানো শুরু। যাকগে চারদিন আমি সিসিটিভি জুড়ে রেখেছিলাম বঙ্গ জুড়ে। শুধু দেখতে পেতাম ওদের। কিছু হয়ে গেলে তো ওখানে বিচার পাওয়া মুস্কিল। বিচার দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গড়িয়ে চলে। খাতা খুলে আর দিন পড়ে, মামলা একচুলও নড়েনা চড়েনা! সব একই তিমিরে। বিচারপতি পতিসেজে ঘুসের খপ্পরে। যতো সব গরুচোর বালিচোর কয়লা, রেশন, চাকুরী চোরদের তাড়াতাড়ি দিন পরে আর জামিন পায়। যে মানুষ সাক্ষী দেয় কাঠগড়ায়,সাক্ষী লোপাট হয়ে যায়। শম্ভু নিশম্ভু সব বাংলার বাঘ। হুঙ্কারে বিচারক প্রস্রাব করে প্যান্টের ভেতরে। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে পথঘাট রাস্তায়।
আর আমার ঊমাকে ওখানে পাঠাবো না। এখন আমার তালুবন্দি। সে আমার একমাত্র স্ত্রী। সবার মতো পাঁচ পাঁচটি রক্ষিতার মতো নয়। যতো সব আদিখ্যেতা মর্ত্যে। নেতা মন্ত্রী চুরি করা টাকার ভারে কুব্জ হয়ে গেছে। টাকার সদ্ব্যবহারে পরকীয়া দিন দুপুরে। মহারানী উস্কানি দেন ছোট্ট ছেলের কাজ! ওরা এসব জানে না, ওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কামদুনি কাটোয়া পার্ক স্ট্রিট এসব মিথ্যা সাজানো ঘটনা। সব ওলোটপালট হয়ে ঘুরে গেছে টাকায়। দশ থেকে বিশ লক্ষ গুনলেই সঙ্গে সিভিক চাকুরী পেলে সব বদলে যাবে। পরিবর্তনের সরকারে সব পরিবর্তন। শুধু মিথ্যাবাদীর পরিবর্তন হয়না। চারিদিকে হাসিখুশি শোভনের কার্নিভাল। পদ্মপুকুর ছেড়ে সবাই পানা পুকুরের খোঁজে?স্ত্রী পুত্র কন্যা ব্যতিরেকে ইতরামির ব্যবস্থা রেড রোডে। জাহান কোষা কামান দাঁড়িয়ে থাকবে চারপাশে, বাদ শাড়ি পরিধান। এই চলছে বিধির বিধান।