বর্ষার পল্লী প্রকৃতি
বর্ষার পল্লী প্রকৃতি
মোহাম্মদ শফিউল্লাহ মিয়া ভাই
টিপটিপ করে পড়ছে বৃষ্টি সারাদিন সারাবেলা,
বরষার উৎসবে প্রকৃতিতে জাগে সাড়া।
কালো মেঘে ঢেকে গেছে আষাঢ়ের আকাশ,
শো শো শব্দে বহিতেছে বাতাস ।
ঝর ঝরে ঝরছে সারাদিন বৃষ্টি,
সমগ্র আকাশে কালো মেঘের সৃষ্টি।
মুষলধারে অঝোর ধারায় ঝরছে প্রচন্ড বৃষ্টি,
নীলিমায় নীল আকাশে রংধনুর হয়েছে সৃষ্টি।
টিনের চালে গাছের ডালে,বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
পেখম মেলে ময়ূর নাচে,পায়ে দিয়ে সোনার নুপুর।
দুষ্ট ছেলের দল আনন্দে করে কোলাহল,
বিলের পানিতে ভাসাইয়া, কলাগাছের ভেলা।
নাওয়া নাই,খাওয়া নাই,কাটে যায় সারাবেলা,
হাঁসগুলি বিলের জলে আনন্দে করছে খেলা।
গরু নিয়ে যায় চাষী লাঙ্গল জোয়াল কাঁদে,
বৃষ্টিতে ভিজে চাষী জমিনে ধানের চারা পুঁতে।
বর্ষার প্লাবনে ফসলের মাঠ রাস্তাঘাট যায় ডুবে,
চাষীদের কষ্ট বিফলে যায় বন্যার দারুন ক্ষতে।
শাপলা শালুক ফুটে খালে আর বিলে,
গোয়ালে গরু বাছুর হাম্বা হাম্বা ডাকে।
আঁকা বাঁকা মেঠো পথ যেন গোলক ধাঁধা,
দুষ্ট ছেলের দল করছে খেলা গায়ে মেখে কাঁদা ।
পিচ্ছিল মাঠঘাট,কাঁদায় আছাড় খাচ্ছে,
তবুও মানুষ সকল যার যার কাজে যাচ্ছে।
বিলের জলে ধরছে মাছ,বুনোহাঁস আর পানকৌড়ি,
আষাঢ় মাসে নৌকায় করে যায় নাইওরি বাপের বাড়ি।
কেয়া , কদম ফুল ফুটে মগডালে,
জেলেভাইয়ে ধরে মাছ বর্ষাকালে।
খেয়া ঘাটে নাই খেয়া নদীতে প্রবল ঢেউ,
অলস সময় করছে পার মাঝি ঘাটে নাই কেউ।
নববধূ চেয়ে থাকে দূর অজানায় করে মন ভারি,
এমন বর্ষাতে সখা মোর আসতো যদি বাড়ি।