নিরুনিবু রাত, আশংকাপ্রেক্ষিতে সত্তাবিকিরণ
নিরুনিবু রাত, আশংকাপ্রেক্ষিতে সত্তাবিকিরণ
শিশির আজম
মানব বিন্যাসে অসংকোচ নিদ্রায়ন, তাতে পা-পা চূড়ায় উঠলো চাঁদ
ডুমুরপাতায় শরীর ও অশরীর পরাগকেশর
ভার্জিনিটি আর কীভাবে মানবে রাজা দারিয়ুস
রাস্তার বাতিটা নিস্তব্ধ অবজ্ঞা মাথা পেতে নিচ্ছে।
পূব-পশ্চিম ত্যারাছে ছুটন্ত ভেড়ার বাচ্ছা, সম্মুখেই গাভীতৃণায়ণ
অনূড়া ভাসান যোগে-উপযোগে অমনঙ্ক, পশ্চাৎকাতর
হাতেমুখে সপ্রতিভ গণিতকণিকা
বাংলায় শুধু ভাদর তো নয়, রেলরাস্তা, অসীম নিশ্চিন্দিপুর–
‘ছুটিমুটি পিঁপড়া বুটি
লাল দরজা খোল দে’
তখন অনেক দেরী মানুষের অপরাধ শেখা
সোনালী জোৎস্নায় মৃদু অহমিকা।
হীরকদন্তের প্রতিনিধি আসে, এবার যে খোঁজ-খোঁজ তুন্দ্রাক্রোমোজম
সত্যি কি আত্মস্ত হলো যৌথশিল্প?
মেঘ বলতে তন্দ্রাহীন বেলায়েত হুসেন খাঁ
বিমূর্ত পল্লীতে দ্বান্দ্বিক নভেরা।
চাঁদ দায়ী, পেঁচা কিছু হারিয়েছে। গৌতম বুদ্ধের মতো রাত যত বাড়ে
আমাদের বোধ তত ভারভার।
আর স্নেহজাত বুনো হাঁস? ব্লাকহোল পার হ’য়ে হাঁসের মগজ?
রূপোর সিন্দুকে কতো না জীবাণুতেজ, হুস্
কলমির ঝোঁপে জোনাকিরা দল বেঁধে কবিতা পড়ছে —
‘ছুটিমুটি পিঁপড়া বুটি
লাল দরজা খোল দে’
আরেকটি ভান নাও তুমি নিদ্রাকুসুমের
সিঁড়ি টপকিয়ে আমরণ আশংকা পবণ, সত্যি!
দেখো ফাহিয়েন ঠিকমতো রাঙিয়ে দেবে জন্মদিন।
বায়ুতে সিঁধেছে যেন কটকতারার ধারা — ইতস্তত অন্ধবিন্দুগুলো
বর্ণশিক্ষাসহ আজ কেন্দ্রমুখী আচরণে চোর-চোর!
চোখ ভরে শিশির নামছে। ক্রমশ পাতালে পথমুদ্রায়ন
শবর যুবক।