যত দোষী বারাঙ্গনা
যত দোষী বারাঙ্গনা
মো. ইসহাক মিয়া
দিবালোকে ঘৃণ্য সবে বেশ্যা বল তারে,
নিশি হলে ছুট সাধু তুমি তার ধারে।
তিমিরঘেরা ঘরটা, ভাব স্বর্গপুরী
উপমাতে মিলে নাকো তোমাদের জুড়ি।
কোন জ্ঞানে ঘৃণ্য বস্তু ভালোবাসো রাতে,
নিশিতে তারেই তব ধরে আঁখিপাতে।
ধরেছো ডাকাত হয়ে সন্ন্যাসীর বেশ,
নেই তব মাঝে কোন লাজ-লজ্জা রেশ?
খোলে বেশ্যালয় সাজে টাকার কুমির,
বলে তারা নীতি কথা উঁচু করে শির।
তোর চেয়ে বেশ্যা ভালো নহে বর্ণচোরা,
শ্রেষ্ঠ রূপে ভ্রষ্ট, ওরে কপালপোড়া।
কৌশলে বানাল যারা বারাঙ্গনা তরে,
তারাই সমাজপতি, দেশ দশে হাল ধরে।
জানাজায় দ্বন্দ্ব বাধে বেশ্যা যদি মরে,
তার টাকা দানে হেরি মসজিদ ঘরে।
প্যাগোডা মন্দির গির্জা যত ধর্মশালা,
গণিকার দান নিতে খোলা সব তালা।
মরলে পতিতা তার গা ছোঁয়া বারণ,
শুনি ধর্মীয় সাধুর নীতির ভাষণ।
যত দোষ গণিকার দেহ বেচে বলে,
ভোগে দেহ রয়ে গেলে নির্দোষ কৌশলে।
সমাজের অবক্ষয় হেরিয়া নির্বাক,
লুটে খাচ্ছে দেশ চিল শকুনের ঝাঁক।
খোদার কালাম বেচে বুজুর্গ সাজিয়া,
মাথে তুলে নাচি তারে সম্মানে বাঁধিয়া।
হক বেহক যেথায় মিশে একাকার,
লিখে ফুরাবে না তার বিন্দু সমাচার।
হরদম চলতেছে অন্যায়ের গাড়ি,
মূর্খ বিদ্বান সবাই ছুটে বেঁধে সারি।
সুদে-ঘুসে টাকা নিয়ে করিছে আরাম,
ঘৃণা করে না সমাজ খায় যে হারাম।
বিবেক বিকায় পথে-ঘাটে সস্তা দামে,
চারদিকে জয়ধ্বনি শুনি তার নামে।
কলম খোঁচায় মারে হক জনতার,
দরদি জনসেবক কী মহিমা তার!
গাড়ি বাড়ি করে জ্ঞানী মনুষ্যত্ব বেচে,
সেই দেশের গৌরব বলি মোরা নেচে।
সবে তরে উল্টো রথ শুধু বেশ্যা বাদে,
হেরি বিচার নির্বাকে মোর হৃদ্ কাঁদে।
আমার লেখা প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও উক্ত পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি