গল্পের উপসংহার
গল্পের উপসংহার
শামীমা খালিদ শাম্মী
ভালোবাসা দুটি মানুষের হৃদয়ের অমর বন্ধন
একজনের মৃত্যু দিয়ে শেষ হয় কি একটা প্রেমের গল্পের?
উপসংহারের পরও আরেকটি জীবন বেঁচে থাকে,
তার গল্পের উপসংহার হয় না, সে তো বেঁচে থাকে
তার আর্তনাদের গল্প অজানা থেকে যায় অগোচরে।
তার দিন মাস বছর কিন্তু গল্পের মতো একধাপে এগিয়ে যায়না চোখের পলকেই,
তাকে অপেক্ষা করতে হয় প্রতিটি সেকেন্ড,
জীবিত থেকেও সে হয়ে যায় জীবন্ত লাশ,
আঁধারে লুকানো স্বপ্নের হাতছানিতে
বেশ যন্ত্রণাময় দেয়ালে ঘেরা তার চারিপাশ
জীবনের রোজ নামচা চলে প্রাণহীন পুতলের মতো।
তার একাকিত্বের গল্প বড্ড বেশি যন্ত্রণার
চোখে জলরাশি এলোমেলো প্রচন্ড উদাসী,
বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ বাইরে হাসি
সারাজীবন বয়ে বেড়ানো স্মৃতি নামক ফাঁসি,
কখনো বসন্ত আসেনা তার হৃদভূমে
শুধু ঝড়বৃষ্টি স্নাত বজ্রপাত
হাহুতাশ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার অভ্যাস।
হৃদয়ের ভেতরে অনিয়মের ছড়াছড়ি
তবুও নিয়ম করে প্রিয় মুখটা মনে করেই ঘুম ভাঙ্গে
রোজ সকালে তার মেসেজের অপেক্ষায়,
নির্ঘুম রাত কাটে তবে জ্যোৎস্না বিলাসে নয়,
শহর জুড়ে বৃষ্টিতে হাত ভিজানো হয় কিন্তু স্পর্শ নেই,
শিউলিতলায় ফুল ঝরে নিয়ম করেই
শুধু কুড়িয়ে মালা গাঁথা হয়না তার।
সব নিয়মেই চলে শুধু মানুষ টা শোকে পাথর হয়
ভেতরে তুমি নামক যন্ত্রণা কুড়ে খায়,
হাসতে ভুলে যায় শুধু নিজের মনে প্রলাপ বকা,
অযত্নে বিষিয়ে যাওয়া জীবনটা টেনে নিয়ে যাওয়া
মৃত্যু আলিঙ্গণের অপেক্ষার প্রগাঢ়তায়।