কিঞ্চিৎ কিংকর্তব্যবিমুঢ়
কিঞ্চিৎ কিংকর্তব্যবিমুঢ়
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
এক/
তাইতো কপাল ঠেকাই—!
দাগ লাগানো মুহুর্তে অবক্ষয় বাড়ে!
বড্ড বেশী বঞ্চনা — তাথৈ তাথৈ করে
—ঘুরপাক খায় নিরর্থক ঢেউ
আর ফেনিল জোছনা!
তাইতো — জীবনটাকে রগড়ে নিচ্ছি!
ধোঁয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে
নবজন্ম পায় — জীবন!
কখনো সখনো অক্সমাৎ ভেঙে পরে
সভ্যতার চূঁড়া—!
অসহায় উল্লস্ফন করে — ভর্য়াত
মানুষের মস্তিষ্ক!
দু:খের খেরোখাতা সেতো ঘরপোড়া গরু
কিংবা দই দেখে মুখ পোড়া চুন—!
কাকে বিবেচনায় রাখি….শ্যাম নাকি কূল?
অন্তরে অন্তরে ভাব না — থাকলে
একঘেয়েমিপনা কেনো—?
থাকো তুমি ভীন গ্রহের হয়ে
তোমার ভালোবাসাবাসি নিয়ে.!
এক বুক অমলিন ভালোবাসায়
— না হয় আমি ধুঁপ হয়ে পুড়ি!
দুই/
জাতীয় জাদুঘরে রাখবে কি
আমার কোনো আসবাবপত্র!
নাকি তৈজসপত্র জ্বালানিতে ব্যবহৃত হবে?
নাকি দেখবো কোনোদিন —
” আমার জীবনাবসানে কেবলই — বিরসেরই খেলা?”
কদম ফুল… তাকে ভালোবেসে
করিনিতো কোন ভুল?
পরের গৃহে সিঁধেল পায়ে
সিঁধ কেটে চলেছি ভেসে কুল —!
অথচ বকুল মালা সম্প্রদানে—ভিন্ন কেউ!?
শ্যামাঙ্গি নগ্ন রমণির
দেহে নাকি — রসগোল্লার টক!
সেই কবেকার — বিরহিত কামিনীর
— গন্ধে মৈথুনে
বৃষ্টির সৃষ্টির এক অপদূত!
তবুও ভেসে ভেসে চলি —
— বঙ্গ রাজ্যের চুনোপুঁটি হয়ে!
তিন/
হারিয়ে যাওয়া খড়মের সুর
মনের কোণে ধ্বনি তোলে
কবেকার কথা —সেই অমলিন
খড়ম কাহিনী—?
চোখেও দেখেনি কখনো!
শুধু দাদার সাতষট্টিতে তোলা —
সাদাসিধা জীবনযাত্রার ছবি খানি
মনে করিয়ে দেয়—!
মফস্বল কিংবা শহরতলিতে
খড়ম ধুলো উড়াতো কতো?
আজ নানাবিধ — জুতোর অলংকরণে
হারাতে বসেছে — খড়ম শুধু খড়ম নয়
খড়ম……কাহিনীও বটে!