তীব্র চাওয়া বুকে
তীব্র চাওয়া বুকে
কাজী শামীমা রুবী
সে পেয়েছে নতুন ঠিকানা নতুন আরেক ঘর
দূরের মানুষ কাছের হলো আপন মানুষ পর।
সে পেয়েছে নতুন কাব্যমালা নতুন নতুন গল্প।
জীবনের অধ্যায়ে সোনালি স্মৃতি অতি অল্প।
সে পেয়েছে জীবননদীর আঁকাবাঁকা শত বাঁক।
বিন্দু থেকে সিন্দু জমেছে সুপ্ত রাগ অনুরাগ।
সে পেয়েছে চাঁদের আলোয় জোছনাপূর্ণ রাত
আঘাতের পর আঘাত জমে ঘাত প্রতিঘাত।
সে পেয়েছে তন্দ্রাবিষ্ট অলিক স্বপ্নলোকের ছাবি।
জীবনসমীকরণে রয়েগেছে অলিখিত কিছু দাবি
সে পয়েছে স্বধীনতার স্বাদ মুক্ত আলোর দিশা।
হৃদয়ের ঘর শূণ্যতায় ভরা জাগে অতৃপ্তির তৃষা।
সে পেয়েছে স্বল্প সময়ের সুখসমুদ্রের জোয়ার।
ভাটার টানে অসাড় জীবন বন্ধ মনের দূয়ার
সে পেয়েছে আলেয়ার মোহ মিথ্যায় সর্বগ্রাসী
অসহনীয় যন্ত্রণা বেদনার নীলকষ্ট রাশি রাশি
সে পেয়েছে ঘুনে ধরা জৌলসে বহুরূপী শান্তি
চাকচিকের মোড়কে আবৃত নীলকষ্টের ক্লান্তি
সে পেয়েছে হৃদয়হীনা পায়নি হৃদয় রানী
অনুশোচনায় বয়ে বেড়ায় প্রেম হারানোর গ্লানি।
সে পেয়েছে তিক্ত সাজানো ফুলে বসন্তকাল
অতীত ফিরে পাওয়া তীব্র বাসনা রইবে পরকাল।
কামনা বাসনা প্রেম প্রণয়ের তীব্র চাওয়া বুকে
ফিরে পেতে চায় সুখের নীড় ভালোবাসা আর সুখে।