স্বতন্ত্র অবস্থান
স্বতন্ত্র অবস্থান
আহমেদ জোহা
ফিরে এলাম।
পায়ে পায়ে,
আপন ঘরে,
উচ্চশব্দে,
কল কোলাহলে,
বিজয়ের আত্মগর্বে।
যেখানে মিশে আছে আত্মতৃপ্তির সম্পূর্ণ প্রকাশ,
আর স্বস্তির সজীব নিঃশ্বাস।
আমিও মাথাটা খানিক করলাম বাহির,
দ্বিধাদ্বন্দে কাটানো কতক কলমপেশী।
যতটুকু ছিল আত্মবল,
নিঙড়িয়ে দিয়েছি ভীতির সদলবল
ঢুঁ মেরেছি সারাক্ষণ তোমাদের আত্মপ্রকাশে,
জানিয়ে মৌন সমর্থন।
এটুকুই আমার অবদান,
নড়বড়ে আত্মবিশ্বাসে কাটানো প্রিয় আমার এ দেহপ্রাণ।
তবু হইনি অন্যায়ের অন্ধ পক্ষপাতি।
আর আমি বিরুদ্ধ মতাদর্শী,
ন্যায় অন্যায়ে ছিলনা হিতাহিত জ্ঞান।
একচক্ষুতে করে গেছি অকুন্ঠ সমর্থন;
যাতে পেয়েছি ধিক্কার প্রতি পদে পদে।
হয়েছি অপমানিত লাঞ্চিত বিজয়ের দিনে,
আর আমার আপন ঘর থেকে বিতাড়িত।
এখনও সে ধারা স্পষ্টে স্পষ্টে চলমান;
তবুও সে ঘরে ফিরতে আমি ভীষণ মরিয়া।
তাই আত্মগোপনে থেকে করছি পরিস্থিতি পর্যালোচনা।
আমিও ছিলাম এক অন্য রকম,
সুযোগসন্ধানী অতি চালাক।
সময়ে সময়ে পাল্টায়েছি ভোল,
ধরি মাছ না ছুঁই পানিতে কাটায়েছি সাঁতার।
এখন আমিই করি উচ্চ আওয়াজ;
থাকি সবার অগ্রভাগে।
বিজয়ের সুরে সুরে বিজয়ের পক্ষে –
করতে আপন অবস্থান সুসংহত,
সুস্পষ্টে পাকাপোক্ত।
বিজয়ের সুবাতাসে ভাসায়েছি যে গা,
সর্তকতার পূর্ব আভাস মিলিয়ে মিলিয়ে।
তবু জানি আমার এ ঘর সকলের,
সবার জন্যই উন্মুক্ত নিরাপদ স্থান।
হোক যতই আমরা ভিন্ন মতাদর্শে জয়ী পরাজিত,
লেখার এ অঙ্গন হোক আমার স্বতন্ত্র স্বাধীন ;
থাকুক প্রত্যেকের বাক স্বাধীনতা,
লিখতে বাঁধা নেই কারও,
আত্মগ্লানির অপরাধে ভুগলেও-
এ ঘর উন্মুক্ত সবারতরো।
এসো হই আবার মিলিত সকলে,
ভুলে যাই দলীয়করণ, দখলে।