ঋতুপর্ণার আগমণ
ঋতুপর্ণার আগমন
জান্নাতুল ফিরদৌস আইরিন
সবুজ সাগর কিনারে নীলাভো নীলিমায় আকাশের নীল,
আগন্তুক ঋতুরাজের নবনব পল্লবীর সমাচার,
নান্দনিক সৌন্দর্যের মূর্তি প্রেমিক খুব শ্রীঘ্রই উপস্থিত হবে ।
ধরণী পরে আসিবে কি সুন্দর সেই রমণীর শতরূপা রূপ।
ঝিনুকের মালা পড়ে,
পায়ে কাঠের পুঁথির পা তোরায়,
তুমি বন পথে এগিয়ে চলবে দুলে দুলে,
কালো ভ্রমর আঁখির পরে আলতো কাজল,
নূপুরের তালে ঝিনুকমালা—
কি বাহারি না লাগবে।
খোঁপায় পড়বে পলাশ,
কৃষ্ণচূড়ার আর বন কাঞ্চনের গোলাপী রঙের রঙিন স্নিগ্ধ ফুলের পাপড়ি ।
সঞ্চিত হৃদয়ে উদ্বেলিত উঠবে নিঃশ্বাসের শব্দে।
তোমার হলুদ শাড়ির আঁচল উড়বে বিতানে বায়ু ঐশ্বর্য এর মাধুর্যে,
হে বসন্তের রাণী পরশ মণি ,
তৃপ্তি সহচরে আমিও মিশে হবো কোকিলের তাণে বিভোরী।
ভৈরব সুর হৃদয় প্রাঙ্গণ জুড়ে সুগন্ধির আতর অলি নিদ্রায় আচ্ছন্ন পুষ্প স্তবকে শয্যায়,
গুণগুণ করে মাতুয়ারা ভ্রমরের গানে,
পাকপাকালির মিলন বাসর সজ্জিত এই ধরিত্রীর ধামে।
অপূর্ব কেয়ার উঠনে এসেছে কুঁড়ি,
সুগন্ধির মালা দেবে পড়ায়ে,
দিয়ো তুমি সেই মালা খানি।