এপ্রিল ২০, ২০২৫

হোমোসেপিয়ান্স

সঙ্গীতা ইয়াসমিন

একদা যে ছিল সবিশেষ

আজ সে যে কেউ- অচেনা ধূলোবালি।

তোমাকে, তাঁকে এবং তোকে অশেষ ধন্যবাদ;

যে আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছ গিরিখাতে

টেনে হিঁচড়ে নামিয়েছ জাহান্নামের চৌরাস্তায়

অনর্গল পুড়িয়ে মারার লোভে

বুকের গহীনে জ্বেলেছ যে আগ্নেয়গিরি

ধুতুরার ফুলে যে আমাকে পুজো দিয়েছ

অর্চনার ছলে।

তাদের সকলকে করজোড়ে ধন্যবাদ।

পাহাড়ের উচ্চতায় যে সিদ্ধার্থের জন্ম হয়েছিল

আমার বুকের ভেতরে,

ধ্যান ভেঙে গেলে তার ইশারায় বুঝে নিলাম

পাদদেশ থেকে শিখরের দূরত্ব ব্রডগেজেই মাপতে হয়।

মুখোশের মুখে ফানুস জ্বালিয়ে

যে উৎসব আর আরতির আয়োজন করেছিলাম

পথ হাঁটতে গিয়ে খসে গেলে বোধের আস্তিন

ঝরাপাতার কান্নায় বোধের অতলে দেখি হেমন্ত রঙিন।

যে ভালোবেসেছ, ঘৃণাও করেছ ততোধিক

বুকের খুব কাছে থেকে ছেড়েও গিয়েছ

অবহেলা করেছ, অবজ্ঞা দিয়েছ

শ্রদ্ধা করেছ স্নেহও অফুরাণ!

বন্ধুত্বের পাতায় নাম লিখিয়ে

শিক্ষা দিয়েছ সমীচীন, প্রাপ্তির খাতায়

তাচ্ছিল্যও কিছু কম নয়!

মুহূর্তের অসাবধানতায় ধুয়ে গেছে সোনারঙ জল,

আদতে সবই ছিল মাটির পেতল।

এপ্রিল ২০, ২০২৫

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *