ভাতের ক্ষুধা
ভাতের ক্ষুধা
আতিকা হাসান
জানতাম তোরা ছাড় দিবিনা কিছুতেই
তবুও, মৃত্যুর চেয়ে ভাতের ক্ষুধাটা
অগ্রাধিকার পেয়েছিল বেশি..
সেদিন থেকেই অন্ন কষ্টটা টের পেলাম প্রথম,
বেঁচে ছিলেন অগ্রজ
বড়ো স্নেহে আগলে রাখতেন তিনি।
সেই অগ্রজও যখন চলে গেলেন মা-বাবার নিকট
তখন থেকে মৌলিক অস্তিত্বটা খুব বেশি
জানান দেয় পেটে, মগজে…
মাঝে মাঝে সারাদিনের অভুক্ততায় চলতে পারিনা
অন্ধকার দেখি চোখে!
তাই, টেবিলে ভাতের আয়োজন দেখে
ভুলে গিয়েছিলাম আসন্ন মৃত্যুর কষ্ট,
ভুলে গিয়েছিলাম সাদার বিপরীতে
সেরা সৃষ্টির পশুত্ব অবয়ব!
যখন হরেকরকম আঘাতের চিহ্ন
শরীরে এঁকে
কেটে কেচে
পাঠাচ্ছিলি মা-বাবার ঠিকানায়
বিশ্বাস কর!
দেহের প্রতিটি ভাঁজের চামড়া ফেটে রক্ত ঝরলেও
বুকের গহীনে স্বস্তি হচ্ছিলো খু-উ-ব!
কারণ, যাচ্ছি তো সেই স্বজনের কাছে
যেখানে এতিম বলে কেউ কখনো
গলা ধাক্কা দেবে না!
আর শুধুমাত্র পেটের দায়ে-
কোনো শিক্ষিত প্রজন্মকে বিশ্বাস
করতেও হবে না!