ফিলিস্তিনিরা আজ গিনিপিক

ফিলিস্তিনিরা আজ গিনিপিক
সেক রজব আলি
এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে
কে কার কথা শোনে
যেখানে গোটা পৃথিবীটাই আজ বধির।
কান্না আর আহাজারীর আর্তনাদ ওদের কর্ণকুহরের দেওয়াল স্পর্শ করে না।
ওটা বড়ই প্রাণহীন শক্ত প্রাচীর
যেখানে যার মূল ঘটকে লেখা থাকে সাম্য আর মানবিকতার প্রবেশ নিষেধ।
জায়নবাদীরা ফিলিস্তিনদের মৃত্যুতে আহ্লাদিত।
কারণ এই মুরুব্বিহীন গিনিপিগ গুলোর উপর নিত্য নতুন পরীক্ষায় তারা সফল।
সাম্রাজ্যের দৈর্ঘ্য প্রস্থেও সাম্রাজ্যবাদীরা বড্ড বেশি লাভ দেখতে পায়।
ও ফিলিস্তিনি বন্ধুরা তোমরা যতই আল্লাহকে বলে দাও সে তো পরে
কিন্তু জায়নবাদীরা বলছে তারাই ফেরাউন তারাই এই বিশ্বের বর্তমান খোদা।
দেখনা কিভাবে তোমাদের ৫৭রা
তাদের যায়ানবাদীদের বন্দনায় চুপ করে তসবি গুনতে থাকে অষ্টপ্রহর।
দেখেছো কি তাদের হেল দোল?
হ্যাঁ, বর্তমান তোমাদের একটাই খোলা রাস্তা চুপ করে থেকো
আর নিজেদের মৃত্যুর মিছিলে নিজেদের দাঁড় করিয়ে দাও !
আমাদের ৫৭রা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের খুশি রাখতে এটাই এখনকার ইবাদত।
ওহে ফিলিস্তিন তোমাদের জন্য শুধুই সান্তনা এখন “অপেক্ষা”।
তোমরা পারবেনা ৫৭রা চুড়ি পরে ঘোমটায় মুখ ঢেকেছে।
তোমাদের কুরবানীর রক্তে ভেজা ওই মাটি একদিন হয়তো একদিন জাগবে।
একটু অপেক্ষা! একটু ধৈর্য !
হায়রে কাপুরুষ সভ্যতা
হায়রে তথাকথিত গণতন্ত্র মানবিকতার মেকি ধ্বাজাধারীরা তোমরা এই সৃষ্টির লজ্জা।
তবে যায়ানবাদিরা তারা যাই বলুক যতই অস্ত্রের ঝনঝনি দেখাক
যতই বারুদের দম বন্ধ ধোঁয়া ছড়াক
তবে সত্যটা হচ্ছে “পরিবর্তন”।
সভ্যতার ইতিহাস তাই বলে।
শুধু একটু কুরবানি আর একটু অপেক্ষা!