অক্টোবর ২৮, ২০২৪

কিঞ্চিৎ কিংকর্তব্যবিমুঢ়

0

কিঞ্চিৎ কিংকর্তব্যবিমুঢ়

শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম

এক/

তোমার প্রতিকৃতিতে আমি নতজানু।

তাইতো কপাল ঠেকাই—!

দাগ লাগানো মুহুর্তে অবক্ষয় বাড়ে!

বড্ড বেশী বঞ্চনা — তাথৈ তাথৈ করে

—ঘুরপাক খায় নিরর্থক ঢেউ

আর ফেনিল জোছনা!

তাইতো — জীবনটাকে রগড়ে নিচ্ছি!

ধোঁয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে

নবজন্ম পায় — জীবন!

কখনো সখনো অক্সমাৎ ভেঙে পরে

সভ্যতার চূঁড়া—!

অসহায় উল্লস্ফন করে — ভর্য়াত

মানুষের মস্তিষ্ক!

দু:খের খেরোখাতা সেতো ঘরপোড়া গরু

কিংবা দই দেখে মুখ পোড়া চুন—!

কাকে বিবেচনায় রাখি….শ্যাম নাকি কূল?

অন্তরে অন্তরে ভাব না — থাকলে

একঘেয়েমিপনা কেনো—?

থাকো তুমি ভীন গ্রহের হয়ে

তোমার ভালোবাসাবাসি নিয়ে.!

এক বুক অমলিন ভালোবাসায়

— না হয় আমি ধুঁপ হয়ে পুড়ি!

দুই/

জাতীয় জাদুঘরে রাখবে কি

আমার কোনো আসবাবপত্র!

নাকি তৈজসপত্র জ্বালানিতে ব্যবহৃত হবে?

নাকি দেখবো কোনোদিন —

” আমার জীবনাবসানে কেবলই — বিরসেরই খেলা?”

কদম ফুল… তাকে ভালোবেসে

করিনিতো কোন ভুল?

পরের গৃহে সিঁধেল পায়ে

সিঁধ কেটে চলেছি ভেসে কুল —!

অথচ বকুল মালা সম্প্রদানে—ভিন্ন কেউ!?

শ্যামাঙ্গি নগ্ন রমণির

দেহে নাকি — রসগোল্লার টক!

সেই কবেকার — বিরহিত কামিনীর

— গন্ধে মৈথুনে

বৃষ্টির সৃষ্টির এক অপদূত!

তবুও ভেসে ভেসে চলি —

— বঙ্গ রাজ্যের চুনোপুঁটি হয়ে!

তিন/

হারিয়ে যাওয়া খড়মের সুর

মনের কোণে ধ্বনি তোলে

কবেকার কথা —সেই অমলিন

খড়ম কাহিনী—?

চোখেও দেখেনি কখনো!

শুধু দাদার সাতষট্টিতে তোলা —

সাদাসিধা জীবনযাত্রার ছবি খানি

মনে করিয়ে দেয়—!

মফস্বল কিংবা শহরতলিতে

খড়ম ধুলো উড়াতো কতো?

আজ নানাবিধ — জুতোর অলংকরণে

হারাতে বসেছে — খড়ম শুধু খড়ম নয়

খড়ম……কাহিনীও বটে!

অক্টোবর ২৮, ২০২৪

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *