অক্টোবর ২৮, ২০২৪

এসো ডুবন্ত জলে ফেরারি হয়ে

0

এসো ডুবন্ত জলে ফেরারি হয়

শাহ্ সাবরিনা মোয়াজ্জেম

দু-ঠোঁটে বজ্রপাতের অভিমান নিয়ে

গহীন পুকুরে তুমি ব্যস্ত শিকারি।

অথচ এই তপ্ত দুপুরের লোডশেডিংয়ে

তোমায় নিয়ে কাব্য রচনার বৃথা চেষ্টা।

বুকের ভেতর হাজারো

কথার ফানুস উড়িয়েছি

জানো, মঙ্গলাভ বাতাসে নয়

নরক যন্ত্রণা নিয়ে বুকের বা-পাশটায়

ফিরে আসে—অস্তমিত গো-ধূলির

তামাটে বর্ণের শিশা হয়ে—!

বুকে বার্তাবহ কোনো শোক তোমার নেই।

অথচ আমার বুকে

……………উড়ন্ত শামুকভাঙার তীব্র দহন—।

সহস্র ধারার বৃষ্টি রাগের খেয়াল ঠুমরী

শোনো তুমি দক্ষিণা হাওয়ায়—!

হৃদয় হুল্লোড়ে চমকৃত হয়

আমার কষ্টের চৌ-দ্বার—!

নাহ—কষ্টে অনুরাগ নয়।

বিরাগে দহন অনুপাতের তীব্র জ্বলুনিতে!

বিলক্ষণ তোমার না পাওয়ার দ্বারস্থে আমি

মাজারে মন্দিরে মানত করিনি—

হ্যাঁ অনিবার্য পরিণতি জেনেও বার বার

হাত মেলে দাঁড়িয়েছি জোছনা ধোয়া অজান্তেই

………….. তোমার নিমিত্তে—।

কতটা জয়িতা হয়েছি নাকি

ফেরারি ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো ঝাপটা মেরে

মেরে উড়ে চলেছি কখনো পুবে কখনো বা পশ্চিমের হাওয়ায় হাওয়ায়………!

ঝিঁঝিঁ রব তোলা পালে আমার বন্দরে নোঙর

তোমার বারংবার—

বলো—কেনো—?

কেনো তবে এই খেলা—?

মাঝরাতের গগণ ফাটানো গরমের শৈথল্যে

তোমার আরাধনায় মগ্ন থেকেছি—

সম্ভবনার এক ফোটা পুষ্পিত বৃষ্টির জন্যে।

“আহা তুমি—!

সেই অরুনাভ তুমি—

কল্পিত আখ্যানের অনুরাগের অনুভূতির তুমি!

ভাবনার দিগন্তের জলরাশির সাঁকো তুমি!

দিগম্বর রাতের এক ফোটা ওই দুরের

না দেখা টিমটিমে মাটির পিদিমের আলেয়া!

চাঁদ বামনের প্রশ্ন নয়

ওটা আপেক্ষিক কল্পনা প্রসূত—!

বরং তুমি আমি মানুষ—!

মনুষ্য সত্তার বাইরের এলিয়েন নয়

যা ছুঁতে মানা—!

পিয়াসের কলতানে

ঝর্ণার কলতানে পিয়ানো না হলে

চলো, মিশে যায় শারীরিক সৌন্দর্যের

সমুদ্রে……….!

মিশে যাই— জেলিফিশ হয়ে

মিশে যাই— ফেনিল স্রোতের

অম্বরে অম্বরে—

দিকভ্রান্ত……কানামাছির

মৌচি….. হয়ে!

অক্টোবর ২৮, ২০২৪

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *