এপ্রিল ২০, ২০২৫

আমি তেপান্তরের মাঠ থেকে বলছি

0

আমি তেপান্তরের মাঠ থেকে বলছি

সেক রজব আলি

দূর হতে দূরে সেই সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা নির্ঝর ঝরনা ধারায় শীতল জলের স্রোতস্বিনী নদীর ধারে তেপান্তরের মাঠে,
ঘুমিয়ে আছে তোমার মনের রাজকুমার জাগাও তারে তোমার কোমল ঠোঁটের মন্ত্র পাঠে।
তোমার হাতের জীওন কাঠির আলতো ছোঁয়ায় জাগবে সে জাগবে,
নীল ঘোড়ায় সাওয়ার হয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে আসবে সে আসবে।
অচেনা পথিক তুমি, ভয় নেই তুমি এসো এই নৈসর্গিক মায়াবী দুনিয়ায় পাখিদের কলতানে
তুমি না মোর সেই আমি?
তুমি এক দেশী আমি ভিনদেশী
এই ভিন্নতা কেমনে আমি মানি?
বাড়াও হাত ওরে ক্লান্ত পথিক
তোমায় নিয়ে চলি,
শোনাবো তোমায় লায়লা মজনু, শ্রী ফরহাদ, সনি মহুয়াল, ইউসুফ জুলেখা, শাজাহান মমতাজের কত প্রেম উপখ্যান বলি।
চলো যাই মোর প্রাণ বন্ধু দৌড়ে চলি আমার স্বপ্ন ঘেরা পর্ণ কুটিরে,
যেথায় ময়ূর ময়ূরী হরিণশাবক কাঠবেড়ালিরা ঘুরে বেড়ায় মৌমাছিরা ফুলে ফুলে আপন মনে দিনে ভরে।
দিনের শেষে রাত গড়ালে যাব চলে নদী ঘাটে, ঝিঁঝি পোকার ডাকে,
দাঁড়াই মোরা সেথায় বকুলতলে দেখব দুজন চন্দ্র পানে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে।
আকাশ ভেঙ্গে মুঠোয় পুরে তারাগুলো এনে দেব সাগর সিনঞ্চে মুক্ত দেবো তোমার মেহেদি রাঙ্গা হাতে,
শিশির দিয়ে ধুইয়ে দেবো সাদা বদন হেনার গন্ধ মাখিয়ে তাতে।
ওই শোনো কুহুতানে উদাস সুরে কোকিল ডাকে বটে,
ভোর হলো ঘুম ভাঙলো দ্বার খুলো সূর্য উঠলো হেসে,
কবিতায় গানে গজলে বন্ধ আঁখি পটে সারাক্ষণ বন্ধু তুমি থাকো হেসে খেলে ভেসে।
তেপান্তরের জাদুই মাঠে এসেছ তুমি মোর নুরজাহান স্বপ্নলোকের ময়ূর সিংহাসন বসে,
ঘুমের ঘরে নয় দিনের উজ্জল আলোয়
বলছি আমি আমি বলছি তোমায় প্রিয়ে মোর বুকের তেপান্তরের মাঠ থেকে হেসে।

এপ্রিল ২০, ২০২৫

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *