অলি থেকে কলি
অলি থেকে কলি
এস এম মামুন ইসলাম
তৃষিত অলি ছুটে যায় বনে মায়ার বাঁধনে কোন সে কাননে,
সরসী মনে প্রশ্ন জাগে অলি ছুটে যায় কোন সে শ্রবনে।
বাহনে চড়ে বসে পুঁজি করে হৃদয় জুড়ে সেকালের ছবি,
অলি থেকে কলি ধরণীতলে লিখে যায় কোন সে মহৎ কবি।
ফুল কলি ছুয়ে অন্তর মন জয়ে আমৃত্যু পরশের পুঁথি,
একালের ফুল সিউলি জবা জুঁই কুড়িয়ে মালা গাঁথি।
পাথুরে মনে বড়ো আশা বুনে রাঙিয়ে যায় কিছু পুঁজি,
এটাই কি ছিল অবলা মনে সভ্যতার কৃত্রিম অনুভব সুপ্ত বুজি।
ঠোঁটের ফুলকি মৃদু হাসি মিলিয়ে যায় সভ্যতার আলাপ,
ধরণী শুন্যে ভেসে অমিত করে যায় চতুর্মাত্রিক মহা বিলাপ।
লাঞ্ছিত মনে বড়ো আশা জাগে কাঞ্চা লেলিনের বাতি,
অলি থেকে কলি জীবনের গলি পাইনা কোনো ছাতি।
হিয়ার নিকুঞ্জ রথে নিরবে নিভৃতে কাঁদে চপলা লালভূমি,
বেদনার ছোঁয়ায় ভেসে ওঠে নৃশংস জীবনের তিক্ত জমি।
অরণী ভেবে শরণীর বুকে তরুণী ডেকে যাও তুমি,
এখনো অলিতে জীবনের গলিতে তুমি বড়ই দামী।
অলি থেকে কলি জীবনের গলি পাইনা কোনো রেনু,
নিকোশ কালো আন্ধার চান্দের আলো সাথে নিয়ে গেনু।
তবুও চায় অনেক বেশি আমৃত্যু সরব নিয়ে হৃদয় জুড়ে,
অলি থেকে কলি জীবনের গলি ঘুরে এলেম জীবন চড়ে।